মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী :
রাজশাহী-৬ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলীর দ্বন্দ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও প্রকাশ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’টি পক্ষ। এর মধ্যে বাঘা পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ প্রকাশ্যে দেখা যায়। সেই আক্কাছই বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টুকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এ জয়ের পর বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, শাহরিয়ার আলমের সাথে রাজনৈতিক লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা আক্কাছ।
আক্কাছ আলী পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৩ ভোট। তার বিপরীতে নৌকার প্রার্থী পিন্টু পেয়েছেন ৬ হাজার ১৮৭ ভোট। এ বিশাল ব্যবধানে মোঃ আক্কাছ আলীর জয়ের পর শাহিরয়ার আলমের রাজনীতির কৌশল নিয়েও দেখা দিয়েছে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে নানা প্রশ্ন। তবে অনেকেই বলেছেন, দলের মধ্যে বিভেদ এবং শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বেইমানীও করেছেন অনেকেই। আবার দীর্ঘদিন ধরে বাঘা পৌর এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কও আক্কাছ আলীর জয়কে থামানো যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, পৌর নির্বাচনে আক্কাছ আলীসহ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে অন্তত ৬ জন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু আক্কাছকে ঠেকাও মিশনে ছিলেন শাহরিয়ার আলম। ফলে আক্কাছ আলী মনোনয়ন বঞ্চিত হন। তাতে দমে যাননি আক্কাছ। তিনি নিজের এবং ভোটারদের প্রতি বিশ্বাস রেখে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। তাতেই বাজিমাত করেন দলের এই ত্যাগী নেতা। আরেকজন নেতা বলেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নিকট থেকে সুবিধা নেননি এমন কোনো নেতাকর্মী বাঘা-চারঘাটে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু দলের মধ্যেকার কিছু সুবিধাবাদি নেতাকর্মীও শাহরিয়ার আলমকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে চলেছেন। যার ফলে বাঘা-চারঘাটে আওয়ামী লীগের মাঝে এখন চরম কোন্দল বিরাজমান। দলের অভ্যান্তরিন কোন্দলের ফলে গত পৌরসভা নির্বাচনে বাঘায় বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী। সঠিক প্রার্থী মনোনীত না করায় এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। আক্কাছের জনপ্রিয়তার কাছে হার মানতে হয়েছে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের রাজনৈতিক কৌশল।
আক্কাছ আলী অভিযোগ করেছেন, গত নির্বাচনেও প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বিরোধীতা করায় আক্কাছ আলী পরাজিত হয়েছিলেন। এবারও তাঁকে পরাজিত করতে নৌকার প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করেছেন প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু এবার আর আক্কাছকে পরাজিত করা যায়নি।